
খন্দকার নিজাম বাঙালি
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি –
সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। গত ২৬ জুন রাতে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে একজন হিন্দু নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে ২৭ জুন শুক্রবার মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণ:
ভুক্তভোগী নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। ২৬ জুন রাত আনুমানিক ১০-১১টার মধ্যে ফজর আলী তাঁর ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করেন। দরজা না খোলার পর কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন, তবে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে।
সরকারের পদক্ষেপ:
তদন্ত ও গ্রেপ্তার: পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফজর আলীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৯ জুন ভোরে ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে আটক করা হয়, এবং ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিচারের প্রতিশ্রুতি: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিচার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
এই ঘটনায় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করে ধর্ষকের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছেন। তবে, ভিডিওর সত্যতা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে বিতর্ক রয়েছে, যা তদন্তের অপেক্ষা রাখে।
এ ধরনের অপরাধ বন্ধের জন্য আমরা সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। আপনার মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানান।