বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন প্রভাবশালী ও সুবিধাভোগীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন একঝাঁক তরুণ ত্যাগী কর্মী চুপিসারে গড়ে তুলছেন বিকল্প নেতৃত্বের ভিত্তি। তেমনি একজন নির্ভরযোগ্য, মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মী হলেন মোঃ নিজাম বাঙ্গালি, যিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই নিজাম বাঙ্গালি রাজনৈতিক সচেতনতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব, যা তার সাংগঠনিক শক্তির সূচনালগ্ন। এখান থেকেই তার রাজনৈতিক নেতৃত্বের বীজ রোপণ হয়। পরবর্তীতে তিনি যুব অধিকার পরিষদ কুমিল্লা জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নিজেকে আরও পরিণত ও কার্যকর নেতায় রূপান্তরিত করেন।
বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রমিক অধিকার রক্ষায় তার ভূমিকা অত্যন্ত গঠনমূলক ও সাহসী। তিনি বিশ্বাস করেন, শ্রমিকদের সম্মান ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত না হলে একটি সমাজ কখনো সাম্য ও উন্নয়নের পথে এগোতে পারে না।
নিজাম বাঙ্গালির রাজনৈতিক দর্শন মূলত গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে। তিনি কখনো দলীয় পদ বা ব্যক্তিস্বার্থের জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করেননি, বরং দল ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সবসময়।
মোঃ নিজাম বাঙ্গালি একজন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক কর্মী, যিনি তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি শ্রমিক ও যুবসমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতো নেতাদের হাত ধরেই রাজনীতিতে নৈতিকতা, গণসংযোগ ও দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের সম্ভাবনাময় মুখ।
ত্যাগ ও সংগ্রামের পথযাত্রী: মোঃ নিজাম বাঙ্গালি
মোঃ নিজাম বাঙ্গালি শুধু একজন সংগঠক নন, তিনি একজন সাহসী রাজনৈতিক কর্মী, যিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ২০২১ সালের ১৮ জুন, তিনি তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় বিনা কারণে সাত দিন কারাবরণ করেন। এই অন্যায় গ্রেপ্তার ছিল তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্যই।
নিজামের এ কারাবরণ তার সংগ্রামী চরিত্রের প্রমাণ, যেখানে তিনি ভয় বা বাধা নয়, বরং সাহস ও দায়িত্ববোধকে বেছে নিয়েছেন। এই ঘটনা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে, এবং তিনি এখনো তৃণমূলের কণ্ঠস্বর হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এমন ত্যাগী নেতারাই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিবর্তনের চালিকা শক্তি।
চিওড়া ইউনিয়নের উন্নয়ন স্বপ্নে নির্ভীক সৈনিক: মোঃ নিজাম বাঙ্গালি
চিওড়া ইউনিয়ন, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লার একনিষ্ঠ সন্তান মোঃ নিজাম বাঙ্গালি নিজেকে একজন সৎ, পরিশ্রমী ও জনদরদী তরুণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শিক্ষাজীবনে এইচএসসি সম্পন্ন করার পর তিনি শুধু নিজেকে গড়েই থেমে থাকেননি, সমাজ ও জনগণের জন্য নিবেদিত থেকেছেন সর্বদা।
তিনি একজন নির্ভীক ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিতে গণঅধিকার পরিষদের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সুপরিচিত। রাজনৈতিক সক্রিয়তার পাশাপাশি সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন। তার নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রামের অনেক তরুণ আজ সচেতন, সংগঠিত এবং অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার।
মোঃ নিজামের একমাত্র লক্ষ্য—ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে নিজের চিওড়া ইউনিয়নবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে জনসেবামূলক দায়িত্ব পালন করা। তিনি বিশ্বাস করেন, এলাকার উন্নয়ন শুধু সড়ক বা ভবন নির্মাণ নয়, বরং তরুণদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষার প্রসার, মাদকমুক্ত সমাজ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব।
মোঃ নিজাম বাঙ্গালির রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তা-চেতনা প্রমাণ করে, তিনি ত্যাগ, নিষ্ঠা ও আদর্শকে ধারণ করে জনগণের সেবা করতে প্রস্তুত। সুযোগ পেলে তিনি চিওড়া ইউনিয়নের উন্নয়নে এক সাহসী, সৎ ও কার্যকর ভূমিকা রাখবেন—এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
শুভেচ্ছেন্ত:
খন্দকার নিজাম বাঙালি
রাজনৈতিকবীদ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা
প্রতিবেদন
মোঃ মোস্তফা কামাল
সহ-সভাপতি গণঅধিকার পরিষদ
কুমিল্লা জেলা।