সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন এক ট্রেন্ড— ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা পোস্টের ঢেউ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকেই নিউজফিড ভরে উঠেছে এমন পোস্টে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ছবির সঙ্গে কোনো ব্যাখ্যা নেই, ফলে অনেকেই অবাক হচ্ছেন— আসলে কী ঘটছে?
তদন্তে জানা গেছে, এই ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টের পেছনে রয়েছে আসন্ন গণভোট প্রসঙ্গ। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে, তা ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা।
মূলত গণভোটের সময় ও প্রক্রিয়া নিয়েই ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
* *বিএনপি* জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে অনড়।
* *জামায়াতে ইসলামী* চায় নভেম্বরে গণভোট হোক।
* জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্দিষ্ট তারিখ না জানালেও সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
ফলে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান কাছাকাছি হলেও বিএনপি তাতে সায় দেয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ প্রচারণা।
ছাত্র রাজনীতিতেও দেখা গেছে এই বিভাজন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নিজের প্রোফাইলে ‘না’ পোস্ট দিয়েছেন। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘হ্যাঁ’ লিখে প্রচারণা চালাচ্ছে।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা *অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ইতোমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়েছে। কমিশনের সহসভাপতি *ড. আলী রীয়াজ* জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ঘিরে এখন দেশের রাজনীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে নতুন উত্তাপ— গণভোটকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন এক প্রতিযোগিতা।



















